পশ্চিমবঙ্গ ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড স্কিমে ব্যবসার জন্য ঋণ দেওয়া শুরু হচ্ছে কারা কীভাবে দরখাস্ত করলে ঋণ পাবেন

৮ ফেব্রুয়ারি রাজা বিধানসভায় পেশ করা ২০২৪-২৫ সালে আর্থিক বাজেটে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার বজায় রাখতে রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গ ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড স্কিম চালু করেছে। যার মাধ্যমে ২ লাখ স্বনিযুক্ত যুব উদ্যোগীদের বছরে ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও প্রতিটি গ্রাম আর ব্লক স্তরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগীদের উৎসাহ দিতে রাজ্য সরকার 'শিল্পের সমাধান' নামে এক প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রতিবেদনে জানানো হল, পশ্চিমবঙ্গ ভবিষ্যৎ কার্ড স্কিমে কারা কীভাবে দরখাস্ত করবেন। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল রাজ্যের যুবক-যুবতীদের কম সুদে ঋণের সুযোগ দিয়ে ব্যবসা করতে সাহায্য করা। শুধু নতুন উদ্যোগী নয়, যাঁরা এরমধ্যে ব্যবসা করছেন, তারাও এই প্রকল্পে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। আর এ রাজ্য ১০ বছরের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো কড়াকড়ি নেই। প্রকল্প অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। এই ঋণের ওপর ১৫% থেকে ২০% পর্যন্ত ভরতুকি দেওয়া হবে। তবে সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা ভরতুকি। দৃষ্টান্ত হিসাবে বলা যায়, আপনি ৫ লাখ টাকা ঋণ নিলে আপনাকে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ঋণের ওপর ১২% সুদ দিতে হবে। অর্থাৎ আপনি প্রকৃতপক্ষে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ওপর সুদ দেবেন। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের ঝুঁকি কমাতে রাজ্য সরকার ১৫% পর্যন্ত ক্রেডিট গ্যারান্টি দেবে। তার মানে কেউ পরিশোধ করতে না পারলে, সরকার ব্যাঙ্কের ক্ষতির একটা অংশ পূরণ করবে। ১টি পরিবার

থেকে শুধুমাত্র ১ জন এই প্রকল্পে ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য। তবে পরিবার মানে নিজে ও স্ত্রী। এই প্রকল্পে যেকোনো ছোটোখাটো দোকান, উৎপাদনমূলক ব্যবসা, পোল্ট্রি, মাছচাষ, গবাদি পশু পালনের জন্য ঋণ পাওয়া যাবে। এছাড়াও পরিষেবামূলক ব্যবসার জন্যও ঋণ পাওয়া যাবে। সাধারণ উদ্যোগী ছাড়াও পরিবহণ শ্রমিক, বিল্ডিং ও অন্যান্য নির্মাণ শ্রমিকরাও এই প্রকল্পে আবেদনের যোগ্য।

ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড স্কিমে ঋণ নিতে হলে লাগবে এইসব নথিপত্র :

(১) আধার কার্ড / ভোটার আই.ডি কার্ড,

(২) পাসপোর্ট (যদি থাকে),

(৩) রেশন কার্ড / ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে),

(৪) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট (৬ মাসের)।

ব্যবসার নথিপত্র: ব্যবসার ধরনের ওপর নির্ভর করে দিতে হবে এম. এস.এম.ই রেজিস্ট্রেশন, ট্রেড লাইসেন্স, দোকান হলে তার লাইসেন্স, ব্যবসার প্রোজেক্ট রিপোর্ট (ব্যবসার লাভ-ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ), প্যান কার্ড, জি.এস.টি রেজিস্ট্রেশন (যদি প্রযোজ্য হয়)। এছাড়াও ব্যবসার অভিজ্ঞতা থাকলে তার প্রমাণপত্র (চালু ব্যবসার ক্ষেত্রে), ২ জনের সুপারিশপত্র (ব্যাঙ্ক বা, স্থানীয় ব্যবসায়ীর) লাগবে।

কীভাবে আবেদন করবেন দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ওয়েবসাইট থেকেই আবেদন করতে পারেন www.bcs.wb.gov.in তবে মনে রাখবেন, ভুল তথ্য দিলে দরখাস্ত বাতিল হতে পারে। দরখাস্তের সঙ্গে যাবতীয় নথিপত্রের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। দরখাস্ত জমা দেওয়ার পর আপনাকে একটি এস.এম.এস ও ই-মেল পাঠানো হবে। সেখানে আপনার আবেদনের হ্যাকিং নম্বর দেওয়া থাকবে।